স্প্যানিশ সুপার কাপে সেভিয়াকে ২-১ গোলে
হারিয়েছে বার্সেলোনা। বার্সার হয়ে একটি করে গোল
করেন জেরার্ড পিকে ও ওউসমানে ডেম্বেলে। সেভিয়ার
একমাত্র গোলটি করেন পাবলো সারাবিয়া।
৩৩! হ্যাঁ, এই সংখ্যাটি লিওনেল মেসির।
রোববার রাতে স্প্যানিশ সুপার কাপে
সেভিয়াকে ২-১ গোলে হারিয়ে বার্সার হয়ে
৩৩তম শিরোপা জিতেছেন লিওনেল মেসি।
মরক্কোর তানজিয়ারে পেছনে ফেলেছেন গত
মৌসুমে সাবেক হওয়া ইনিয়েস্তাকে।
বার্সেলোনা যে দুটি গোল করেছে, দুটিতেই
অবদান আছে মেসির। স্বাভাবিকভাবেই এ জয়
লিওনেল মেসির জন্য বিশেষ কিছুই বটে। মনের
কোনায় যত্নে রাখবেন আজীবন। অন্যদিকে
সেভিয়ার ফরাসি স্ট্রাইকার বেন ইয়েদের
আজকের রাতটি ভুলে যেতে চাইবেন। এমন
সুযোগও কেউ হাতছাড়া করে! ইয়েদের করেছেন।
৯০তম মিনিটে পেনাল্টি পায় সেভিয়া।
ইয়েদেরের দুর্বল শট আটকাতে টের স্টেগানের
মোটেও বেগ পেতে হয়নি। ফলাফল? এতক্ষণে
জেনে গেছেন নিশ্চয়। এ নিয়ে ১৩ বার সুপার
কাপের শিরোপা জিতেছে কাতালানরা।
খেলায় যাওয়ার আগে কিছু তথ্য টুকে রাখতে
পারেন—এই সেভিয়াকে হারিয়েই কোপা দেল
রে শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা। তো
স্পেনের ঘরোয়া ফুটবল লা লিগা ও কোপা দেল
রের শিরোপাজয়ীরা মুখোমুখি হয় স্প্যানিশ
সুপার কাপে। গত মৌসুমে লা লিগা ও কোপা
দেল রে দুটিই জিতেছিল বার্সেলোনা। সে
জন্যই সুপার কাপে বার্সার প্রতিপক্ষ কোপা
দেল রের রানার্সআপ সেভিয়া। আর এবারই
প্রথম স্পেনের বাইরে সুপার কাপ হলো।
এবার খেলায় আসা যাক—ম্যাচের নবম
মিনিটেই পাবলো সারাবিয়ার গোলে এগিয়ে
যায় সেভিয়া। প্রথমে অফসাইডের বাঁশি
বাজালেও ভিডিও দেখে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে
হয় রেফারিকে। সেই গোল পরিশোধ করতে
প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়
মেসি-সুয়ারেজদের। ৪২তম মিনিটে পিকের
গোলে সমতায় ফিরলে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে
বার্সেলোনা। ডি–বক্সের বাইরে থেকে মেসির
নেওয়া ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
জায়গা মতো বল পেয়ে সেটি জালে জড়াতে
ভুল করেননি পিকে। এর আগে ৩৮তম মিনিটে
অবশ্য ভালো সুযোগ নষ্ট করেন লুইস সুয়ারেজ।
২৭তম মিনিটে মেসির একটি শটও আটকে দেন
সেভিয়ার গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও
কাজে লাগাতে পারেনি বার্সা।
বার্সেলোনার না পারার চেয়ে সেভিয়ার
গোলরক্ষকের দুর্দান্ত সেভের কথা না বললেই
নয়। দ্বিতীয়ার্ধে দলকে নিশ্চিত গোলের হাত
থেকে বাঁচান দুবার। একবার কুতিনহোর শট
আরেকবার আটকে দেন মেসির শট। এর আগে ডি-
বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া মেসির আরেকটি
শটও আটকেছিলেন সেভিয়ার এই গোলরক্ষক।
কিন্তু ৭৮তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে
ডেম্বেলের বুলেটগতির শট রুখতে পারেননি।
ডেম্বেলের জয়সূচক গোলে বার্সা এগিয়ে যায়।
৯০তম মিনিটে সেভিয়ার খেলোয়াড়কে ডি
বক্সের মধ্যে ফেলে দেন বার্সা গোলরক্ষক
টের স্টেগান। পেনাল্টির বাঁশি বাজান
রেফারি। কিন্তু ইয়েদের যে শট নিয়েছেন!
পাড়ার কোনো গোলরক্ষকও অমন শট আটকে
দিতে ভুল করবেন না। কে জানে, শেষ মুহূর্তে
ইয়েদেরের পেনাল্টি শট মিস না হলে ফলাফল
হয়তো অন্য কিছুই হতো।

0 Comments