লজ্জাজনক হারের পর রাগান্বিত কোহলি যাকে দুষলেন


লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে
লজ্জাজনক হারের পরে ভারতীয় অধিনায়ক
বিরাট কোহালি জানিয়ে দিলেন, হারার মতোই
খেলেছে ভারত। রোববার (১২ আগস্ট) টেস্টের
চতুর্থ দিন ইনিংস ও ১৫৯ রানে হারের কারণে
সিরিজে ০-২ পিছিয়ে গেছে ভারত। ম্যাচ
শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এসে বিরাট
বলেছেন, ‘শেষ পাঁচটি টেস্টের মধ্যে এই
প্রথমবার দিশাহারা দেখিয়েছে আমাদের। এই
টেস্টে যেভাবে আমরা খেলেছি তাতে হারই
প্রাপ্য ছিল।’
তা হলে কি পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে
পারলেন না ভারতের ক্রিকেটারেরা? ভারতীয়
অধিনায়কের উত্তর, ‘পরিবেশকে দোষারোপ
করার কোনো প্রশ্নই নেই। পিচ বোলারদের
সহায়তা করলেও সঠিক জায়গায় বলটা ফেলতে
হয়। ওদের বোলারদের বিরুদ্ধে প্রত্যেকটি রান
করার জন্য আমাদের কষ্ট করতে হয়েছে।’
ভারতের বিপর্যয়ের পরে সঞ্জয় ম়ঞ্জরেকর টুইট
করেন, ‘এর পরের টেস্টে আমাদের একজন
বাড়তি ব্যাটসম্যান খেলাতেই হবে।’ লর্ডসে
প্রথম দিন বৃষ্টির জন্য খেলা হয়নি। তবুও
দ্বিতীয়দিন টসের আগে এক জন পেসারকে
বসিয়ে অতিরিক্ত স্পিনার খেলিয়েছে ভারত।
বিরাট মনে করেন, তার এই সিদ্ধান্ত কাজে
লাগেনি। উল্টো কিছুটা ক্ষিপ্ত হয়ে বলছেন,
‘সত্যি, এখন মনে হচ্ছে, দলগঠনে কিছু ভুল ছিল।
আসলে আমরা বুঝতে পারিনি পেসারদের এতটা
সাহায্য করবে এই উইকেট।’
এক দিকে বিরাট বলছেন প্রত্যেক রানের জন্য
কষ্ট করতে হয়েছে, অন্য দিকে ইংল্যান্ড
অধিনায়ক জো রুটের মতে, লর্ডসে সহজেই জয়
পাওয়া গেছে। রুট বলেছেন, ‘জেতার জন্য বেশি
কষ্ট করতে হয়নি। তার অন্যতম কারণ অবশ্যই
আমাদের বোলারদের দুরন্ত পারফরম্যান্স।
ম্যাচের পরিবেশ আমাদের সাহায্য করেছে।
তবু এই পরিস্থিতিতেও বোলারদের ঠিক
জায়গায় বলটা রাখতে হত। সেটা আমরা করে
দেখিয়েছি। বিশেষ কৃতিত্ব দিতে চাইব জনি
(বেয়ারস্টো) ও ওকস (ক্রিস)-কে। ওকসের জন্য
আমি সত্যিই গর্বিত। নিজের প্রতিভা আরও
একবার প্রমাণ করে দিয়েছে ও। প্রচণ্ড পরিশ্রম
করতে পারে। ও যে দলের নিয়মিত সদস্য ছিল,
সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে।’
যাকে নিয়ে এত প্রশংসা, সেই ক্রিস ওকসই
ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন। ম্যাচে চারটি
উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ১৩৭ রানের
অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। ম্যান অব
দ্য ম্যাচ পুরস্কার নিতে এসে ওকস বলেছেন,
‘আমি আপ্লুত। টেস্টের প্রথম দিন বৃষ্টিতে
ভেস্তে যাওয়া সত্ত্বেও চার দিনে খেলা শেষ
করতে পেরেছি আমরা। লর্ডসে সেঞ্চুরি-
সংগ্রাহকদের তালিকায় নিজের নাম তুলতে
পেরে সত্যি খুব খুশি।’
সঙ্গে যোগ করেন, ‘ইনিংসের প্রথম দিকে ভয়
পাচ্ছিলাম। বল খুব সুইং করছিল। তখন জনি
(বেয়ারস্টো) আমাকে শান্ত করার চেষ্টা করে।
আমাকে বলে, উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকলেই রান
আসবে। সেটাই করলাম। তার পর থেকে সহজে
রান করতে শুরু করি। প্রত্যাবর্তনের টেস্ট ম্যাচ
সারা জীবন মনে থাকবে।’
সূত্রঃ অনলাইন

Post a Comment

0 Comments