আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তি এবং হামলাকারীদের
বিচারের দাবিতে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ
সরকারকে যে ‘আলটিমেটাম’ দিয়েছে, তাতে কাজ
হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের
সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেছেন, ‘ধমক দিয়ে’ কোনো দাবি আদায় হবে
না, বরং ধৈর্য্য ধরলে সুফল পাওয়া যাবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম সাধারণ ছাত্র
অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ রোববার দুপুরে ঢাকায় এক
সমাবেশ থেকে কোটা ও সড়কের আন্দোলনে আটক
শিক্ষার্থীদের মুক্তি এবং হামলাকারীদের বিচারসহ
পাঁচ দফা দাবি পূরণে সরকারকে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত সময়
বেঁধে দেয়।
বিকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মেডিকেল
বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা চিকিৎসক
পরিষদের (স্বাচিপ) এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকরা
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল
কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
জবাবে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা,
ধমক দিয়ে তার থেকে কিছু আদায় করা যাবে না।
আলটিমেটাম দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা, যার সৎ সাহস অনেক
বেশি, … শেখ হাসিনার কাছ থেকে অন্তত সুবিধা
আদায় করা যাবে না।”
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, “…আমি এটুকু
বলতে পারি, কোটা আন্দোলন যারা করেন, তাদেরকে
আমি সুখবর দিতে চাই। কিছুদিন ধৈর্য্য ধরতে অসুবিধা
কী?
“একটা ব্যালেন্সড সিস্টেম চালু করার জন্য কিছুটা সময়
লাগছে, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য কিছুটা সময়
লাগছে। এটা এখন অনেক দূর এগিয়েছে। আমরাও
সমাধানের পথ খুঁজছি। ছাত্রছাত্রীদের হতাশ হওয়ার
কোনও কারণ নেই।”
নিরাপদ সড়কের দাবিতে যে শিক্ষার্থী রাস্তা
নেমেছিল, সরকারের ওপর তাদের আস্থা রাখার
আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, “আস্থা রাখুন শেখ
হাসিনার উপর। … কিশোর-কিশোরী ছাত্রছাত্রীদের
নয় দফা দাবি আমরা মেনে নিয়েছি অক্ষরে অক্ষরে।
প্রতিশ্রুতি আমরা পূরণ করব।”
জাতীয় শোক দিবস সামনে রেখে এই আলোচনা সভায়
১৫ অগাস্ট খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনে বিএনপির
কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগ নেতা
কাদের।
তিনি বলেন, “১৫ অগাস্টে জন্মদিন পালন না করে
খালেদা জিয়ার জন্য বিএনপি দোয়া মাহফিলের
আয়োজন করেছে। এর অর্থ কি এটা যে ১৫ অগাস্ট বেগম
জিয়ার ভুয়া জন্মদিবস এর জন্য ক্ষমা চেয়ে দুঃখ
প্রকাশ করে তারা এটা থেকে সরে আসছেন?
“এরা মোটেই সরছেন না। ১৫ অগাস্টে যারা ভুয়া
জন্মদিবস পালন করে, বাংলাদেশে এই ছদ্মবেশি
বিধ্বংসী দলের সঙ্গে আমাদের কর্ম সম্পর্ক থাকার
সুযোগ নেই। বেগম জিয়ার পাঁচটা জন্মদিন। কোনটা
সঠিক এটা বিএনপিকে আগে ক্লিয়ার করতে হবে।
তারপরে আমরা ভেবে দেখবো তাদের সঙ্গে কথা বলা
যায় কি না।”
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণা নিয়ে ওবায়দুল কাদের
বলেন, “দিনক্ষণ দিয়ে ইতিহাসে কোনও দিন কোনও
আন্দোলন হয়নি। বাংলাদেশেও হয়নি। দিনক্ষণ দিয়ে
যে আন্দোলন হয় না, গত নয় বছরে বিএনপির দিনক্ষণের
আন্দোলনের ব্যর্থতাই তার বড় প্রমাণ।”
স্বাচিপ মহাসচিব ডা. ইকবাল আর্সলানের
সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের
সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক, স্বাস্থ্য ও
জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা,
বিএসএমএমইউ উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া এবং
স্বাচিপ মহাসচিব মো. আবদুল আজিজ এ সভায় বক্তব্য
দেন।

0 Comments